স্টিং নিউজ সার্ভিস:
এই বিশেষ দিনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনেক সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। বিধায়ক ড. মানিক ভট্টাচার্য, ধনঞ্জপুর পঞ্চায়েতের প্রধান জ্যোৎস্না বিশ্বাস, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুজাতা হালদার, নাকাশিপাড়া চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুকান্ত সরকার, এবং বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি ওয়াছের আলী সহ আরও অনেক গুণী ব্যক্তি। এছাড়াও, বাংলা সাহিত্য জগতের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনসারউদ্দিন, কবি শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ, কবি নীলাদ্রি শেখর সরকার, চৈতন্য দাশ, দীনমহাম্মদ সেখ, বাচিক শিল্পী তাপসী সিংহ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দুদিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, কবি সম্মেলন, নাটক ইত্যাদি অনুষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতা ও প্রতিভার বিকাশ ঘটায়। সান্ধ্যকালীন সঙ্গীত অনুষ্ঠানে “মনপাখি” দল পারফর্ম করে, যা দর্শকদের মন জয় করে।
৭৫তম বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়, যা প্রকাশ করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনসারউদ্দিন। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা মঞ্চে “বাল্যবিবাহ রোধ” নামক নাটক প্রদর্শন করে, যা বর্তমান সমাজের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু তুলে ধরে। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষকেরা তাদের স্মৃতিচারণা করেন এবং প্রতিষ্ঠানটির অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রিয়ব্রত বিশ্বাস মহাশয় তার ভাষণে বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, এবং স্কুল কমিটির সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করেন। বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এলাকার মানুষের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল অতুলনীয়।
এটি ছিল এক স্মরণীয় এবং অনুপ্রেরণামূলক অনুষ্ঠানের দিন, যা ম্যাচপোতা উচ্চ বিদ্যালয়ের দীর্ঘ এবং সফল পথচলার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল।