স্টিং নিউজ সার্ভিস: কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার নাকাশিপাড়া হাইওয়ে ট্রাফিকের উদ্যোগে ধুবুলিয়া ট্রাফিক ইউনিট ও ধুবুলিয়া থানার যৌথ প্রচেষ্টায় আয়োজন করা হয় সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কর্মসূচি। বুধবার সকালে ধুবুলিয়া সুভাষচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মধ্যে এই কর্মসূচি সম্পর্কে সচেতনা বৃদ্ধি করা হয়।
প্রথমে, বিদ্যালয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়, যেখানে নাকাশিপাড়া হাইওয়ে ট্রাফিক আধিকারিক শুভঙ্কর চ্যাটার্জি, ধুবুলিয়া ট্রাফিক আধিকারিক সুমন কুমার বণিক এবং ধুবুলিয়া থানার পুলিশ আধিকারিক রামপ্রসাদ মাল সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় মোটরবাইক চালানোর নিয়ম এবং সেফ ড্রাইভিংয়ের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষ করে, হেলমেট ব্যবহারের গুরুত্ব এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে গভীর আলোচনা করা হয়।
সভা শেষে ছাত্রীদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক র্যালি বের করা হয়, যা এনইচ-১২ বরাবর ধুবুলিয়া বাজার প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয়ে ফিরে এসে শেষ হয়। র্যালিতে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ছাত্রীদের হাতে ক্যাডবেরি চকোলেট তুলে দেওয়া হয়।
নাকাশিপাড়া হাইওয়ে ট্রাফিক আধিকারিক শুভঙ্কর চ্যাটার্জি বক্তব্যে বলেন, “আমরা চাই, এই বার্তাগুলি শুধু ছাত্রীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে, তারা যেন তাদের পরিবারে এই সচেতনতা পৌঁছে দেয়।” বিশেষত, বাইক চালানোর সময় হেলমেট পরার গুরুত্ব বেশি করে বোঝানো হয়, যাতে মহিলারা স্কুটি চালানোর সময় হেলমেট ব্যবহার করতে সচেতন হন।
ধুবুলিয়া ট্রাফিক আধিকারিক সুমন কুমার বণিক বলেন, একটি বাইকে দুইজনের বেশি কখনই ওঠা যাবে না। ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে চালকের। পলিউশন ও ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেট অবশ্যই থাকতে হবে। এনএইচ-১২ –এ দুর্ঘটনা কমানোই আমাদের লক্ষ্য।
অন্যদিকে, ধুবুলিয়া থানার পুলিশ আধিকারিক রামপ্রসাদ মাল জানান, ট্রাফিক আইন মেনে বাইক চালাতে হবে সকলকে। কোনো অজুহাত দেখানো চলবে না। বেশি স্পিডে কখনই গাড়ি চালানো ঠিক নয়। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালালে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ধুবুলিয়ার বুক চিরে চলে গিয়েছে ন্যাশনাল হাইওয়ে- এনএইচ-১২ যার আগে নাম ছিল এনএইচ-৩৪। এই ন্যাশনাল হাইওয়ের উপর দিয়ে বিনা হেলমেটে বাইক চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। তাই বাইক আরোহীদের জীবন বাঁচাতে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়নে উদ্যগী হয়েছে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার ট্রাফিক পুলিশ।