স্টিং নিউজ সার্ভিস: শুক্রবার সন্ধ্যায় কৃষ্ণনগর বিসর্জন ঘাটে সমাপ্ত হল চার দিনের নদী সচেতনতা কায়াক অভিযান। প্রাকৃতিক দুর্যোগের বাধা সত্ত্বেও, পলাশীপাড়া থেকে শুরু করে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত এই দীর্ঘ যাত্রাপথে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন অভিযাত্রী দলটি। এই অভিযানটি পরিচালিত হয়েছিল নদীর সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে, যেখানে স্থানীয় জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করা হয় জলঙ্গী নদীর সংরক্ষণে।
ইন্ডিয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ফেডারেশন, হিমালয়ান ফুটপ্রিন্ট ও সেভ জলঙ্গী সংগঠনকে কায়াক অভিযানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশিষ্ট পরিবেশপ্রেমী ডাক্তার যতন রায়চৌধুরী। অভিযানের লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে নদী সংরক্ষণ ও তার পরিবেশগত গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
চার দিনের এই অভিযান নানা চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই এগিয়ে চলে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে অভিযান চালিয়ে অভিযাত্রী দলের সাহস ও সংকল্প যেন সবার কাছে এক প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। কৃষ্ণনগর বিসর্জন ঘাটে এই অভিযান শেষ হওয়ার পর স্থানীয় জনগণ ও পরিবেশ কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যায়।
ঘন্টাখানেক ঘাটে দাঁড়িয়ে থেকে অভিযাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করেন কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস। একইভাবে, কৃষ্ণনগর পৌরসভার পৌরপ্রধান রীতা দাস প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে অভিযাত্রীদের স্বাগত জানাতে ঘাটে উপস্থিত হন যা স্থানীয় জনগণ ও অভিযাত্রীদের মাঝে অনুপ্রেরণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এই কায়াক অভিযাত্রীরা মনে করেন, নদীর সুরক্ষা ও তা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর দায়িত্ব সকলের। পরিবেশগত দিক থেকে নদীর স্বাস্থ্য রক্ষা ও তার পরিচর্যার গুরুত্ব যেন সবার কাছে পৌঁছে যায়, সেই লক্ষ্যে এই যাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।