স্টিং নিউজ সার্ভিস, হুগলীঃ সায়নী ঘোষ আসবে বালিপুরে। এই প্রচার চালিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করতে গিয়ে কার্যত ফ্লপ শো হলো খানাকুল বালিপুরে একটি বস্ত্র দান অনুষ্ঠান। জানা গেলে এই অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক হিসেবে ছিলেন তাঁতিশাল পঞ্চায়েত এলাকার দাপুটে তৃনমূল নেতা সেখ সাকিম।
একটা সময়ে তৃনমূল কংগ্রেসের বিশেষ পরিচিত মুখ হলেও তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে দল তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছিলো। সাকিমের রাজনৈতিক ভিত নড়বড়ে হয়ে পরে।অনেকে মনে করছেন সাকিমের সেই পুরানো নিজস্ব গরিমা,রাজনৈতিক প্রভাবকে সকলের সামনে তুলে ধরতেই এমন একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এক সপ্তাহ আগে থেকে যখন বিরাট হইচই ফেলে দেওয়া জোগার, তবে শেষ বেলায় দেখা গেলো এলাকার সেই চেনা কটা মুখের মাঝে একটু সম্মান বজায় রাখলো অভিনেত্রী তথা তৃনমূল কংগ্রেসের নেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জ্জী র উপস্থিতি।
উপস্থিত ছিলেন আরামবাগ জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সাংগঠিন চেয়ারম্যান।প্রশ্ন সায়ন্তিকা ব্যানার্জ্জী যখন মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন সামনের আসনে বসে ছিলেন বস্ত্র উপহার নিতে আসা কিছু অসহায় মানুষের মুখ গুলো।তৃনমূল নেতৃত্বের একটা বিরাট অংশ গরহাজির থাকায় ফাঁকা ছিলো সামনের ভির।বেশ কয়েকজন স্টুডিও থেকে আনা ক্যামেরার চমক ছিলো।কেন লোক জমায়েত হলো না।তা স্পষ্ট নয়। ছিলো না বালিপুর পঞ্চায়েত এলাকার নেতৃত্ব। সূত্রে পাওয়া খবর বালিপুর স্কুল চলাকালীন স্কুলের কিছুটা অদুরেই চলছিলো এমন একটি অনুষ্ঠান।সেটাও কিভাবে সম্ভব উঠছে প্রশ্ন।
তৃনমূল রাজনৈতিক অপর একটি মহলের একাংশের দাবি সাকিমের অনুষ্ঠান যাতে ফ্লপ হয় বিভিন্ন ভাবে তারও চেষ্টা চলেছিলো।পুরশুড়া বিধানসভা জুরে যখন বিরাট ঘটা করে কোনো মিছিল,সভা অনুষ্ঠিত করতে অনেকে পিছু পা,এমন সময়ে পুরশুড়া বিধানসভার খানাকুল উদনা গ্রামের সেখ সাকিম একটি ক্লাবকে সামনে রেখে এই অনুষ্টান আয়োজন করেন। গরিব দুঃস্থ মানুষদের বস্ত্র উপহার তার সাথে পুরশুড়ার খরা জমিতে নিজেকে প্রভাবশালী পরিচিতি তৈরি করা।গোটা মাঠ ফাঁকা,শয়ে শয়ে চেয়ার পাতা থাকলেও সেরকম কোন তৃনমূল নেতৃত্ব চেয়ারে ছিলেন না।মঞ্চে ছিলো তার ডান হাত বাঁ হাতে থাকে সেই চেনা কটা মুখ।হয়তো সাকিমকে বয়কট করা হয়েছে, মঙ্গলবার দেখা গেলো আর পাঁচটা অতি সাধারণ একটি অনুষ্ঠানের মতো। ঢাঁক ঢোল পিটিয়ে এতো প্রচার করেও রাজ্য নেতৃত্ব জেলা নেতৃত্ব কেউ গুরুত্ব দিলো না এই মাষ্টার প্লানে। তবে কি উদনার দাপুটে নেতা সাকিমকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা নেতৃত্ব? দান শিবির করে নিজেকে বিশেষ প্রভাবশালী বলে প্রচার থাকলেও তৃনমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক দলের একজন কর্মী হিসাবে তার গ্রহনযোগ্যতা হয় তো তলানিতে ঠেকেছে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
একটা সময়ে মহিলাদের সাথে চুটুল হিন্দি গানে নাচের সেই ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ঘটনায় শিরোনামে আসা এই তৃনমূল কর্মী দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলো।তবে এবার বিরাট আয়োজন করে ফ্লপ শো হওয়ায় নিজে অস্বস্তিতে পরলো বলাই যায়।