কমলেন্দু পোড়েল,স্টিং নিউজ করেসপন্ডেন্ট, হুগলীঃ বর্তমানে খানাকুল এলাকাজুড়ে তৃনমূলের রাজনৈতিক উত্তেজনা টান টান পরিস্থিতিতে। সম্প্রতি খানাকুলের তাঁতিশাল পঞ্চায়েত এ দূর্গাপুরে বিজেপির ব্যানার ছেঁরার অভিযোগে তৃনমূলের দুই কর্মীর হাতে বিজেপি পতাকা ধরিয়ে গ্রাম ঘোরানো ঘটনা সমালোচনার ঝর বয়েছিলো রাজনৈতিক মহলে।
এর পরই ওই এলাকায় তৃনমূল কংগ্রেস সংগঠনকে আরো শক্ত করতে ও দলীয় স্তরে ঐক্যবদ্ধ একতার বার্তা এসেছিলো শীর্ষ দলিয় স্তর থেকে। তবে এমন একটা দোলাচালের ভিতরেই খানাকুল ওই তাঁতিশাল পঞ্চায়েতরই প্রধান বিকাশ রায়ের বিরুদ্ধে দলিয় কর্মী স্বপন হাজরার সাথে দুর্ব্যবহারেরর অভিযোগ তুললো খোদ তৃনমূল কর্মীদের একঅংশ।যাতে এমন পরিস্থিতিতে মোটেই ভালো ঠেকছে না বলে মত অনেকের। এমটা জানা গেছে তৃনমূল সক্রীয় কর্মী স্বপন হাজরা যিনি বর্তমানে পঞ্চায়েত সদস্য ও অঞ্চল সভাপতি এবারে ১৬সংসদ থেকে ২৫৩বুথে তিনি জয়লাভ করেছিলেন।
জানা গেছে ঢালাই রাস্তা নিরর্মান করতে গিয়ে একটি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ওই প্রধান ওই পঞ্চায়েত দস্য স্বপন কে কোন চিঠি চাপাটি বা দলিয়ভাবে না ডেকেই চোর অপবাদ সহ দলে কোন গুরুত্ব নাই এমন ইঙ্গিত দেন। পরে স্বপন বাবু কেন এমন কথা বোললেন প্রশ্ন করতে “গালে এক চর মারবো ” বলে হুমকি দপন। জানা গেছে স্বপন বাবু দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ডানপন্থি দলে যুক্ত তৃনমূলের সক্রীয় পুরানো কর্মী যা তৃনমূলের জন্ম লগ্ন থেকে আছেন।যেখানে বর্ষীয়ান কর্মীদের সম্মান দেওয়ার কথা বলা হয় সেখানে ওনাকে বহু নেতার সামনেও অস্মান করায় তিনি মানসীক ভাবে ভেঙে পরেছেন।
একটি অপ্রয়োজনীয় জঙ্গলী গাছ ঢালাই রাস্তা জুরে থাকায় রাস্তার ক্ষতি হতে পারে এমন আশঙ্কায় গাছ কাটতে গেলে ওনাকে পরে হুমকি দেওয়া হয় বলে স্বপনের অভিযোগ।তাঁতিশালের প্রধান বিকাশ রায়ের সাথে যোগা যোগ করা হলে তিনি বলেন ” আমাকে উনি তুই তুকারি করে কথা বোলছিলেন তাই বলে ফেলেছি। সেরকম কিছুই হয়নি ব্যেক্তিগত কাজে ব্যস্ত বলে ফোন লাইন কেটে দেন।
প্রশ্ন হচ্ছে যেখানে সদ্য নতুন প্রধান হয়েছেন সেখানে সকল দলীয় নেতা কর্মী থেকে সাধারন মানুষের সাথে সৌজন্য ভদ্রতা রাখা উচিত সেখানে এই সহজ কথাটা প্রধান ভুলে যাচ্চেন বলে অনেকের অভিযোগ। তবে সদা শান্ত ও নরম প্রকৃতির এই নতুন প্রধান কেন এমন ব্যবহার করলেন তা অন্য কোন কারন থাকতে পারে কি না তা অনেকের সন্দেহ প্রকাশ হচ্ছে।